Friday, September 22, 2023
spot_img
Homeবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিঅপছন্দের ব্র্যান্ডের তালিকায় ফেসবুক, টুইটার ও টিকটক

অপছন্দের ব্র্যান্ডের তালিকায় ফেসবুক, টুইটার ও টিকটক

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার, মেটা এবং টিকটক। এ মাধ্যমগুলো জনপ্রিয়তায় যেমন শীর্ষে ঠিক তেমনই ঘৃণার তালিকায়ও। সম্প্রতি এক জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ‘২০২৩ অ্যাক্সিওস হ্যারিস পোল’ প্রকাশিত ‘হানড্রেড রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ে’ এ ব্র্যান্ডগুলোই সবচেয়ে ‘ঘৃণিত’ তালিকায় স্থান পেয়েছে।

ঘৃণিত তালিকায় ‘টিকটক’ দেখে অনেকেই একটু অবাক হওয়ার কথা, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে এ জরিপের ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে গেছে, কোটি কোটি মাসিক সক্রিয় গ্রাহক থাকলেই যে সেই ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানকে সবাই ভালোবাসবে, এমনটা না-ও হতে পারে। সুনামের ভিন্ন ভিন্ন ৯টি ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেরা ১০০টি কোম্পানিকে বাছাই করতে অ্যাক্সিওস হ্যারিস জরিপে ১৬ হাজার মার্কিন নাগরিকের মতামত নেয়।

‘নৈতিকতা’ ও ‘সংস্কৃতি’ ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে মেটা ও টুইটার। উভয় প্রতিষ্ঠানই সম্প্রতিককালে শুধু ই-মেইলের মাধ্যমে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করে অনেকের সমালোচনার পাত্র হয়েছে। ‘নৈতিকতা’ ও ‘সংস্কৃতি’ ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে মেটা ও টুইটার। উভয় প্রতিষ্ঠানই সাম্প্রতিককালে শুধু ই-মেইলের মাধ্যমে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করে অনেকের সমালোচনার পাত্র হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবরে ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর প্রতিষ্ঠানটিতে একের পর এক ‘নাটক’ লেগেই আছে। মার্কিন আইনপ্রণেতারা অনেক দিন ধরেই দেশটিতে টিকটক নিষিদ্ধের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। জরিপে টিকটকের খারাপ ফলাফলের পেছনে এর ভূমিকাও আছে। জরিপের ফলাফল অনুসারে, টুইটার, মেটা ও টিকটের বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের আরও বড় বড় কোম্পানি দেশটির জনগণের ঘৃণিত ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তালিকায় শীর্ষ ৭টি ঘৃণিত ব্র্যান্ড-১। দ্য ট্রাম্প অরগানাইজেশন ২। এফটিএক্স ৩। ফক্স করপোরেশন ৪। টুইটার ৫। মেটা ৬। স্পিরিট এয়ারলাইনস ৭। টিকটক জরিপে ‘প্রতিষ্ঠানের চরিত্র’, ‘বিশ্বস্ততা’ ও ‘নৈতিকতা’ ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে খারাপ করেছে ট্রাম্প অরগানাইজেশন। এ জরিপটি প্রকাশিত হয়েছিল চলতি বছরের ৩ এপ্রিল। তার ঠিক একদিন পরই প্রথমবারের মতো কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৪টি ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়, যেগুলো এখন বিচারাধীন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments