পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যান গুলজার আহমেদ।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টে ভেঙে যাওয়ার পর একজন অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে হয়। সেই মোতাবেক বিদায়ি প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং বিদায়ি পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল পিএমএলের (এন) নেতা শাহবাজ শরিফকে সোমবার চিঠি পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
তিন দিনের মধ্যে তাঁরা দুজন মিলে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চূড়ান্ত করতে না পারলে বিষয়টি পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে পাঠানো হবে।
প্রেসিডেন্ট আলভির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খান অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছেন। ইমরানের দলের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী জানান, দলীয় ফোরামে আলোচনার পর সাবেক প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
গুলজার আহমেদ ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশটির ২৭ তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
তবে সংবাদ সম্মেলন করে শাহবাজ শরিফ বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়া অসাংবিধানিক। এই প্রক্রিয়ায় তিনি অংশগ্রহণ করবেন না। তিনি বলেন, ৩ এপ্রিল জাতীয় পরিষদে যা হয়ে গেছে, মানুষ সংবিধানের কালো দিন হিসেবে সেটাকে মনে রাখবে। তিনি বলেন, তাঁরা এখন আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন।
এদিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সোমবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব রবিবার খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার। এর পরপরই সবাইকে চমকে দিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন ইমরান। পরে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। এই প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধী দলগুলো।