নুরুন নাহার হেনা
অনন্ত-
তোমার অনন্তিকা এতটা কাল পরে
হৃদয়ের দুপাট খুলে,
অপেক্ষা করেছে শুধু তোমারই জন্য।
তুমি এসে তাকে নিয়ে যাবে বলে কপোতাক্ষীর তীরে,
যেথায় মধুসূদন পথ চেয়ে বসে আছে
তোমাকে আর অনন্তিকাকে মুখোমুখি দেখবে বলে।
অনন্ত-
তোমার অনন্তিকা এই হিংসা,ঘৃনা আর গভীর ষড়যন্ত্রের মাঝেও–দুচোখ স্বপ্নীল করেছে শুধু তোমারই জন্য।
তুমি বাউলের একতারা হয়ে বেজে উঠবে বলে অনন্তিকার প্রাণে,
তারপর নিয়ে যাবে তাকে অন্নিকাপুরে কিংবা হরিনাকুন্ডুর দেশে।
সুজন বাদিয়ার ঘাটে, নকশী কাঁথায় বসে,
সারারাত ধরে দেখাবে শুধু জীবনানন্দের রুপসী বাংলার রূপ।
অতঃপর নিয়ে যাবে তাকে আনন্দ ঝলমল এক সভ্যতার পবিত্র নগরে।
অনন্ত-
তোমার অনন্তিকা পুড়ে পুড়ে ছাই হয়েও
দুচোখে স্বপ্নের কাজল একেছে শুধু তোমারই জন্য।
তুমি বারবার প্রেমের মশাল হাতে তুলে নেবে অনন্তিকাকে ভেঙে চুরে ফসিল হতে দেবেনা বলে।
চোখে চোখ রেখে, দু’হাত বুকে চেপে ধরে
এই অসভ্য ওভারব্রীজ পেরিয়ে —
নিয়ে যাবে তাকে জীবন নগরের হাটে–
মানুষের মহাস্তান গড়ে।
অনন্ত-
জীবন সায়াহ্ন এর শেষ লগ্নে এসে অনন্তিকার নামে আজ তুমি পাঠিয়েছে হাতচিঠি এক।
কিন্তু তুমি তো জাননা অনন্ত –
তোমার জন্য অপেক্ষা করে করে
ঘাস হয়ে গেছে অনন্তিকার দুচোখ,
আর ঘাস হয়ে গেছে তার চোখের কাজল।
অনন্তিকা হারিয়ে গেছে অভিমানে কোন এক কুয়াশা কান্না ভোরে।